ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

আলীকদম থেকে কৌশল অবলম্বন করে পাথর পাচার

Photo 03.08.17 (1)মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

পরিবেশ বিপর্যয়, ধারাবাহিক পাহাড় ধস ও নদীর নাব্যতা সংকটের অন্যতম কারণ পাহাড়ের মাটি খুড়েঁ পাথর উত্তোলন। পরিবেশ রক্ষায় ভাসমান পাথর ছাড়া যে কোন পাথর উত্তোলন, আহরণ বা পরিবহণ অবৈধ ঘোষণা করেছে সরকার। সে কারণে সকল পাথর তোলার পারমিট ও অনুমতি প্রদান বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক।

সরজমিনে বৃহস্পতিবার (৩ আগষ্ট) দুপুরে লামা চকরিয়া সড়কের ইয়াংছা চেকপোষ্টে গিয়ে দেখা যায় পাথর ভর্তি ২টি ট্রাক গাড়ি দাড়িঁয়ে আছে। গাড়ি নং রাঙ্গামাটি ট-১২১৪ ও চট্টমেট্রো ড-৫৮৩০। এবিষয়ে জানতে চাইলে চেকপোষ্টের দায়িত্বে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানায় গাড়ি গুলো আলীকদম উপজেলা হতে আসছে। তাদের কাছে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দেয়া বৈধ অনুমতি পত্র রয়েছে। এই পাথর গুলো জব্দ করে নিলাম দিয়েছে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় তারা আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষরিত একটি পাথর পরিবহনের অনুমতি পত্র দেখায়। যা স্মারক নং ০৫,৪২.০৩০৪.০০০.০৩.০০৩.১৭-৩১৬, তারিখ- ১৭ জুলাই ২০১৭ইং। পাথরের গাড়ি গুলো আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের বাঘের ঝিড়ি হতে চকরিয়া যাচ্ছিল।

আলীকদম থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. লিয়াকত বলেন, গত সপ্তাহে পাথর গুলো জব্দ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলাম দিয়েছিলেন।

বিষয়টি জানতে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এর মুঠো ফোনে অনেকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এদিকে স্থানীয় জানান, পাথর উত্তোলনের অনুমতি না থাকায় নতুন কৌশল অবলম্বন করছে পাথর ব্যবসায়ীরা। তারা এই বর্ষায় পাহাড় কেটে পাথর উত্তোলন করে নির্দিষ্ট একটি জায়গা স্তুপ করে। তারপর প্রশাসন এই পাথর জব্দ করে তা নিলামে দেয়। সিন্ডিকেটে অতি অল্প মূল্যে নিলামে এই পাথর নিয়ে তারা পেয়ে যায় পাথর পরিবহনের অনুমতি পত্র। যার মেয়াদ দেয়া থাকে ১ মাস। এই সুদীর্ঘ সময়ে পাথর ব্যবসায়ীরা কাগজের কয়েক গুণ পাথর পাচার করে।

নিলামের নামে পাথর পাচার বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এখনি জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

উল্লেখ্য, একই সময় আরেকটি পাথর বোঝাই ট্রাক এই চেকপোষ্টের ২০০ গজ পূর্বে ইয়াংছা ব্রিজের পাশে দাড়িঁয়ে থাকতে দেখা যায়। যা গাড়ি নং- চট্টমেট্রো ট-১১-১২১৫। ইয়াংছা বাজারের অনেকে বলেন, প্রতিদিন এই পদ দিয়ে কমপক্ষে ১৫/২০ গাড়ি পাথর পাচার হয়। বৈধ না অবৈধ আমরা জানিনা।

পাঠকের মতামত: